নিজস্ব প্রতিবেদক :: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে ঢাবির তৎকালীন প্রশাসন ও ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। রোববার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করেন তিনি। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর মামলার এজাহার গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫০০ ছাত্রলীগ কর্মীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন— তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, প্রক্টর ও পরবর্তীকালে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করা অধ্যাপক মাকসুদ কামাল, ঢাবির সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুস সামাদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবিদ আল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স, সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় (যিনি পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় সভাপতি হন), কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাকিব হাসান সুইম এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান। মামলার এজাহার গ্রহণকালে শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ খালিদ মনসুর সাংবাদিকদের জানান, রাশেদ খান আজ একটি মামলার এজাহার দিয়েছেন। আমরা তা গ্রহণ করেছি এবং যথাযথ তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনে হামলার ঘটনার পর আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। তৎকালীন প্রশাসন, ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রত্যক্ষ পরিকল্পনায় এই হয়রানির ঘটনা ঘটে। তাই আমরা এই মামলা করেছি— যাতে প্রকৃত দোষীদের জবাবদিহির আওতায় আনা যায়। তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ রুহুল আমিন রতন | মোবাঃ ০১৯১৫-০৯১৫২৯ , ০১৮৫৮-৩১০৮৩৫