
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর :: পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিহিংসা পরায়ণে গাজীপুর সদর উপজেলার বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও গাজীপুর জেলা বিএনপি’র সাবেক কোষাধাক্ষ ইসলাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে মামলা ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন এবং ঢাকার-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক এক ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে এবং দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভে জয়দেবপুর থানার ওসির প্রত্যাহারেও দাবি জানান।
বিএনপি স্থানীয় নেতা কর্মীরা জানান, বিএনপি নেতা ইসলাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে তার নামে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ কোনো প্রকার তদন্ত ছাড়াই বিএনপি’র এই নেতা নামে মামলাটি এজাহারভূক্ত করে। অপরদিকে বিএনপি নেতা ইসলাম উদ্দিনের পক্ষে লোকজন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেয়। চার দিনেও এই মামলাটি পুলিশ রেকর্ড না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপির নেতা কর্মীরা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার-সাফারি পার্ক রোডে অটোরিকশা স্ট্যান্ডে চাঁদা উঠানো নিয়ে দুই পক্ষের উত্তেজনা চলছিল। এ ঘটনায় সদর থানা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ইসলাম উদ্দিনকে প্রধান আসামী করে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়।
জয়দেবপুর থানার ওসি তৌহিদ আহমেদ জানান, বাঘের বাজার অটোরিকশা স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি ও হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় মামলার এজাহারভুক্ত দুই নম্বর আসামি শহীদুল্লাহকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর পক্ষের দেওয়া অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ওই বিএনপি নেতা ইসলাম উদ্দিন বলেন, গত ১১জুলাই শুক্রবার অটোরিকশা স্ট্যান্ডের চাঁদা উঠানো এবং বাধা দেওয়ার ঘটনায় স্থানীয় দুটি পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার হয়। এসময় তিনি শ্রীপুর উপজেলায় বিএনপির একটি কর্মসূচিতে ছিলেন। তিনি বলেন, ওই ঘটনার সাথে তার বিন্দুমাত্র কোন সম্পৃক্ততা নেই এবং এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
গাজীপুর সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আবু তাহের মুসুল্লী বলেন, ঘটনার দিন আহবায়ক কমিটির সদস্য ইসলাম উদ্দিন আমার সাথে দলীয় একটি কাজে শ্রীপুরে ছিলেন।
উল্লেখ্য, বাঘের বাজার অটোরিকশা স্ট্যান্ড থেকে চাঁদা উঠানো ও বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ইউনুস আলী (নছ মিয়া) এবং শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদকের কর্মীদের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও বিরোধ হয়।



Discussion about this post