
শফিকুল ইসলাম শিমুল,গাজীপুর মহানগর প্রতিনিধি:- গাজীপুরের টঙ্গীর এরশাদনগরে যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে শারীরিক ও মানসিকভাবে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগে স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুরে অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি সাগর (২৬), এরশাদনগরের ২ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা ও কালাম মিয়ার ছেলে। নির্যাতনের শিকার নারী সোনিয়া (২১), একই এলাকার সোলেমান মিয়ার মেয়ে। সোনিয়ার মা রহিমা বেগম বলেন, প্রায় সাত বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের জেরে সাগর ও সোনিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শুরুতে সব কিছু স্বাভাবিক থাকলেও বিগত দুই বছর ধরে সাগর বিভিন্ন সময় তার স্ত্রীর কাছে তিন লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিলেন। যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে সোনিয়াকে নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো। রহিমা বেগম আরও জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। সর্বশেষ ১৭ জুলাই সকালে সোনিয়াকে বেধড়ক মারধর করা হয় এবং একপর্যায়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। ঘটনাটি সোনিয়ার ছোট ভাই দেখে ফেলায় সাগর তা শেষ করতে পারেননি। পরে প্রতিবেশীরা আহত অবস্থায় সোনিয়াকে উদ্ধার করে শহীদ আহসান উল্লাহ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই দিনই ভুক্তভোগীর বড় বোন তানিয়া বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই পুলিশ মামলা রুজু করে এবং অভিযুক্ত সাগরকে গ্রেপ্তার করে। টঙ্গী পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বায়েজিদ নেওয়াজ বলেন, “মামলার পরপরই অভিযুক্ত সাগরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ১৮ জুলাই সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।” এদিকে, সোনিয়া বর্তমানে নিজ পরিবারে থাকলেও তার পাঁচ মাস বয়সী শিশুকে জোরপূর্বক শ্বশুরবাড়ির লোকজন নিজেদের হেফাজতে রেখে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবার। সোনিয়ার পরিবারের দাবি, শিশুটিকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।



Discussion about this post