
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর :: গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা মামলায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বাসন থানায় দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- কেটু মিজান, তার স্ত্রী গোলাপী, স্বাধীন, আলামিন, শাহজালাল, ফয়সাল হাসান ও সুমন। শুক্রবার রাতে ও আজ শনিবার সকালে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার রবিউল ইসলাম।
তিনি জানান, গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকা থেকে ফয়সাল ওরফে কেটু মিজান, তার স্ত্রী গোলাপী এবং সুমনকে এবং রাজধানীর উত্তরার তুরাগ এলাকা থেকে আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়।
অন্যদিকে, গাজীপুর সদর উপজেলার শিববাড়ি এলাকা থেকে স্বাধীন নামে এক ব্যক্তিকে র্যাব সদস্যরা গ্রেফতার করে। এছাড়া, বাসন থানার চান্না মাহবুব স্কুল মোড় এলাকা থেকে ফয়সাল হাসান এবং ময়মনসিংহের গফরগাও থানার চর মসলন্দ মোড়লপাড়া এলাকা থেকে শাহ জামালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদেরকে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে হত্যাকাণ্ডে তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় এই অভিযান চালানো হয়।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় শাপলা ম্যানশনের সামনে এক নারীকে মারধর করেন বাদশা মিয়া নামে এক ব্যক্তি। এ সময় কয়েকজন হামলাকারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাদশাকে আঘাত করে। পুরো ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন সাংবাদিক তুহিন। ভিডিও ধারণের বিষয়টি টের পেয়ে হামলাকারীরা তুহিনকে ভিডিও ডিলিট করতে বলে। কিন্তু তিনি নিজের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তা ডিলেট করতে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে তাকে পাশের একটি মার্কেটের সামনে নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। এ হত্যার ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একটির বাদী নিহতের বড় ভাই মো. সেলিম, অন্যটির বাদী বাদশা মিয়ার ভাই। মামলাগুলোতে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় চান্দনা চৌরাস্তায় মসজিদ মার্কেটের সামনে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে চাপাতি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। সাংবাদিক তুহিন দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। নিহত তুহিনের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানার ভাটিপাড়া গ্রামে। স্ত্রী ফরিদা আক্তার ও দুই ছেলে-তৈকি ও ফাহিমকে নিয়ে তিনি চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।



Discussion about this post