
সোনারগাঁও প্রতিনিধি:- নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভার আওতাধীন জাদুঘর ৩ নং গেট বাগমুছা, আবুল বাসার মিয়া রোডে চলমান গাইড ওয়াল নির্মাণ নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ- ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদারের যৌথ সমন্বয়ে কাজের পরিকল্পনা থাকলেও বাস্তবে চলছে নামমাত্র কাজ, তাও নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করে। বর্ষাকালে পুকুরের পানি উপচে পড়ে যাতে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে লক্ষ্যেই নির্মাণ করা হয় গাইড ওয়াল। কিন্তু সোনারগাঁও পৌরসভার এক গুরুত্বপূর্ণ সড়কে গাইড ওয়াল ও রাস্তা নির্মাণে দেখা গেছে চরম অনিয়ম। অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহফুজ ট্রেডার্স-এর মালিক রাবেয়া বেগম এর বিরুদ্ধে। সোনারগাঁ পৌরসভায় আবুল বাশার মিয়া রোডে প্রায় ১৮৫ মিটার দৈর্ঘ্য পাশ ২.৫ মিটার, প্যালাসিলিং ২৯.৭০ মিটার রাস্তার পাশে একাধিক পুকুরে গাইড ওয়াল নির্মাণের জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বরাদ্দ হয় ২৩,২৭,৭৯২ টাকা। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, খোয়া ও ইটের মান নিম্নমানের, সিমেন্টের পরিবর্তে অতিরিক্ত বালু ব্যবহার করা হচ্ছে, এমনকি কোথাও কোথাও ভেঙে পড়া পুরোনো পিলারও বসানো হয়েছে। ওয়াল নির্মাণের কয়েক দিনের মধ্যেই ইট খসে পড়ছে-হাত বা পা দিলেই ভেঙে যাচ্ছে অংশবিশেষ। পৌর সহকারী প্রকৌশলী তানভীর আহমেদেকে সাংবাদিকরা কিছুদিন পূর্বে অনিয়মের প্রমাণ দেখালেও তিনি সন্তোষজনক কোনো জবাব দিতে পারেননি। স্থানীয় এক প্রবীণ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এত নিম্নমানের খোয়া আর ইট দিয়ে কাজ হচ্ছে অথচ অফিস থেকে কেউ দেখে না। আমরা ভালো করে বললেও তারা শোনেনি। ঠিকাদারের এক প্রতিনিধি সালাউদ্দিন কাজের ইস্টিমেট সঙ্গে না রাখায় কোনো উত্তর দিতে পারেননি। যদিও ঠিকাদার রাবেয়া বেগমকে মুঠো ফোনে পাওয়া যায়নি। সোনারগাঁ পৌরসভার উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আতিকুল হক স্বীকার করেছেন আমি জানি কাজের মান খারাপ, আমি অফিসের কাজে অনেক ব্যস্ত আপনি অফিসে আসেন কথা বলি, বাস্তব চিত্র দেখা যাচ্ছে অফিস কক্ষে বসে উনি ধূমপানে ব্যস্ত। সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বর্তমান পৌর প্রশাসক ফারজানা রহমান বলেছেন, “অনিয়ম প্রমাণিত হলে বিল বন্ধ করে দেওয়া হবে। কাজের গুণগত মান যাচাই করে ঠিক না হলে বকেয়া বিল বন্ধসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পৌরবাসীর মতামত সোনারগাঁয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি পৌর এলাকায় এমন অনিয়ম দুঃখজনক। প্রকল্পটি জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বাস্তবায়িত হচ্ছে, ফলে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।



Discussion about this post