
নিজস্ব প্রতিবেদক:গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের (গাসিক) অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা শাহরীন মাধবী বিরুদ্ধে অনিয়ম, স্বে”ছাচারিতা ও ই”ছামতো অফিস করাসহ নাগরিকদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠেছে।সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ জানান, সরকারি অফিসে সেবা নিতে এসে নানা সময়ে হয়রানির শিকার হতে হ”েছন । প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মকর্তা হয়ে তিনি জনগণের সঙ্গে অশালীন ও অসৌজন্যমূলক ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন তারা। এতে সাধারণ নাগরিকরা সেবা পাওয়ার পরিবর্তে আরও ভোগান্তিতে মুখে পড়ছেন।এলাকার নাগরিকদের অভিযোগ, অফিস সময়ে তাকে প্রায়শই পাওয়া যায় না। অনেক সময় অফিসে এলেও সেবা প্রার্থীদের প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন তিনি। এতে গাছা-৩ অঞ্চলের জনগণের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।ভুক্তভোগীদের দাবি, একজন সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে সেবামূলক আচরণ প্রত্যাশিত । অথচ আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা শাহরীন মাধবীর আচরণে তার উল্টো চিত্র প্রতিফলিত হ”েছ।ভুক্তভোগীরা দ্রুত এ বিষয়ে সিটি কর্পোরেশন কর্ত…পক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।তবে অভিযোগের বিষয়ে মাহমুদা শাহরীন মাধবী এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন,আমি নিয়মিত অফিস করি কিনা সেটা দেখার দায়িত্ব আপনার না, সেটা দেখবে সিটি কর্পোরেশনের সিইও এবং সচিব। কোন কিছু জানতে চাইলে তাদের কাছে যান।তিনি আরো বলেন, আপনি সাংবাদিক, আমি ঠিক সময় মত অফিস করি কিনা সেটা কি আপনি আমাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন না। উল্টো মাহমুদা শাহরীন মাধবী সাংবাদিককে প্রশ্ন করেন “আপনি কি সাংবাদিক আখতারুজ্জামানকে চিনেন? উত্তরে সাংবাদিক বলল না চিনি না, এরপরে মাহমুদা শাহরীন মাধবী বলেন তাহলে আপনি তো সাংবাদিকই না।প্রশ্ন হল: সাংবাদিক আখতারুজ্জামান কে, তার সাথে মাহমুদা শাহরীন মাধবীর সম্পর্ক কি?সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গাছা অঞ্চল ৩ আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের সামনে চেয়ারে বসে একজন ঘুমা”েছন । অপরদিকে সিটি কর্পোরেশনের পরিছন্নতা কর্মীরা পরি”ছন্নতার কাজ বাদ দিয়ে ৩জন একসাথে বসে গল্প করছেন।¯’ানীয় নাগরিকরা জানান, গাছা অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা শাহরীন মাধবীর কাছে তারা জিম্মি। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে গণমাধ্যম কর্মীরাও তার কাছে অসহায়। একপর্যায়ে অফিসের শৃঙ্খলা ও অব্যব¯’াপনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যম কর্মী উপর ক্ষেপে গিয়ে বলেন যা পারেন গিয়ে, তা করেন।প্রয়োজনে সিইও স্যারের কাছে যান, সচিব স্যারের কাছে যান।অভিযোগ উঠেছে, সিটি কর্পোরেশনের গাছা জোনের আওতাধীন মহাসড়ক থেকে শাখা সড়ক গুলোতে ময়লা ফেলে দুর্গন্ধ করে ফেলছে সেগুলো তার চোখে পড়ে না।গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল ৩ জোনের আওতাধীন খাল গুলো বেদখল হয়ে আছে সেগুলোও দখল মুক্ত করার কোন উদ্যোগ নেই।এছাড়াও এই কর্মকর্তার ট্রেড লাইসেন্সসহ নানা বিষয়ে সময় অপচয় ও কালক্ষেপণ করেন । তার আচরণে ক্ষুব্ধ সেবা নিতে আসা সাধারণ নাগরিকগণ।এসব বিষয়গুলো ¯’ানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টিগোচরে না আসলে দেশের উন্নয়ন অগ্রমুখী হবে না বলে আশা করছেন সমাজের সচেতন মহল। জানতে চেয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।



Discussion about this post