
গাজীপুর প্রতিনিধি :শ্রীপুর গাজীপুর গাজীপুর: স্ত্রীকে সৌদি আরবে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাইফুল ইসলাম নামে এক প্রবাসীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার হারিয়াদি গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে। তিনি পেশায় সৌদি আরব প্রবাসী। জানা যায়, সাত বছর আগে শ্রীপুর উপজেলা কাওরাইদ ইউনিয়নের মৃধা পাড়া গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে আফসানা মিমির সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় সাইফুল ইসলামের। তাদের সংসার জীবনে পাঁচ বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। সম্প্রতি প্রায় আড়াই মাস আগে স্ত্রী মিমিকে সৌদি আরবে নিয়ে যান সাইফুল। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর পরই ভয়াবহ এক বাস্তবতার মুখোমুখি হন মিমি। অভিযোগ, সাইফুল নিজের স্ত্রীকে এক সৌদি মালিকের কাছে ৬ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। এরপর থেকেই স্ত্রীর সঙ্গে সকল ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি। ভুক্তভোগী মিমি জানান, মাস শেষে মালিকের কাছে বেতনের টাকা চাইলে মালিক জানান, তিনি সাইফুলকে অগ্রিম ৬ লাখ টাকা দিয়েছেন। এরপর থেকে তাকে ঠিকমতো খেতে দেওয়া হচ্ছে না, এবং নানাভাবে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তিনি। এই মর্মান্তিক ঘটনার কথা জানিয়ে একটি ভিডিও রেকর্ড করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন মিমি। ভিডিওতে তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিজের জীবন বাঁচানোর আকুতি জানান। এ ঘটনায় মিমির মা সালমা তার মেয়েকে ফিরে পেতে তার শশুর শাশুড়ীকে অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছেন মিমির পরিবার ও সচেতন মহল। এই বিষয়ে কথা হয় মিমির শাশুড়ি নজুফার সাথে, তিনি বলেন ছেলে সাইফুল সৌদি আরবে রয়েছেন, তবে তার স্ত্রী কোথায় আছেন জানেন না।না জানার কারন জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ছেলে প্রবাসে যাওয়ার পর থেকে মিমি তাদের বাড়িতে থাকে না তার বাবার বাড়িতে থাকে।তাদের সাথে তেমন একটা যোগাযোগ রাখে না। ঘটনার বিষয়ে জানতে সাইফুল ইসলামের ফেসবুক মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমার স্ত্রী বিভিন্ন ছেলেদের সাথে পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত থাকতো একাধিকবার নিষেধ করেও তাকে থামানো যায়নি।তাই বিদেশ নিয়ে এসেছি,সে এখনও আমার স্ত্রী। এর বাইরে কিছু বলতে পারবোনা। শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল বারিক বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি তদন্ত করে গত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।



Discussion about this post