
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর :: গাজীপুরের কালীগঞ্জে শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষণের ৪ মাস পর ধর্ষণের মূল হোতা ইয়াসিনকে কাপাসিয়া থেকে গ্রেফতার করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রেফতারকৃত ওই আসামিকে গাজীপুর আদালতে প্রেরণ করে । পরে আদালতের বিচারক তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। ঘটনাটি ঘটেছে ২০২৫ সালের ১২ মে সন্ধ্যার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামে। এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই আকাশ বাদী হয়ে ১৫ মে কালীগঞ্জ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। যার নং ১২।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আট বছর বয়সী শিশু শিক্ষার্থী বাড়ির পাশে অন্যান্য বাচ্চাদের সাথে খেলা করছিল। এ সময় প্রতিবেশী মৃত আব্দুল হাই এর ছেলে ইয়াসিন (৪৫) ওই শিশু বাচ্চাকে প্রলোভন দেখিয়ে তার নিজ ঘরে নিয়ে যায়। পরে একপর্যায়ে লম্পট ইয়াসিন কৌশলে ওই শিশু বাচ্চার মুখ বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ কথা কাউকে বললে ওই শিশু বাচ্চা কে মেরে ফেলায় ভয় ভীতি দেখায়তো সে। এমনটি অভিযোগ রয়েছে লম্পট ইয়াসিনের বিরুদ্ধে। এভাবে সে বেশ কয়েকদিন যাবত ওই কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীকে পাশ্ববিক নির্যাতন করে আসছিল।
১২ মে পুনরায় তাকে ধর্ষণ করে। পরে ওই শিশুটি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে যায়। পরে চলতি বছরের ১৩ই মে সন্ধ্যার দিকে শিশুটি বাড়ির পাশে রাস্তায় খেলতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে রাস্তায় পড়ে যায় । পরে তাকে গুরুতর রক্তাক্ত আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থার বেগতি দেখে দ্রুত ঢামেকে রেফার্ড করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই শিশু বাচ্চার শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানান শিশু বাচ্চাটি একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পরে তার পরিবারের লোকজন শিশু কে জিজ্ঞেস করলে সে বলে আমাকে (খালাতো বড় ভাই) ইয়াসিন আমাকে জোর করে তার ঘরে ধরে নিয়ে যায়। পরে আমার সালোয়ার ও কাপড় খুলে খারাপ কাজ করে। আমাকে বলে বাড়িতে গিয়া বললে মাইরা ফালাইমু ।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ – পরিদর্শক রিগান মোল্লা যুগান্তরকে জানান, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘ চার মাস পর ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ইয়াসিনকে কাপাসিয়া উপজেলার তারাগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রেফতারকৃত ওই আসামীকে গাজীপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।



Discussion about this post