
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর :- টঙ্গীতে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী টঙ্গী পূর্ব থানা। বুধবার বাদ মাগরিব চেরাগআলীস্থ তাদের কার্যালয়ে এই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন টঙ্গী পূর্ব থানা জামায়াতের আমীর মো. নজরুল ইসলাম, সেক্রেটারি আবু রায়হান, মহানগর ও থানা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্যবৃন্দ। সাংবাদিক সমাজের প্রতিনিধিত্বে ছিলেন গাজীপুর মহানগর সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি গাজী খলিলুর রহমান, এম এ হায়দার সরকার, কালিমুল্লাহ ইকবাল, রেজাউল কবির রাজিব, হাসান মামুনসহ ক্লাবের নবীন প্রবীন সদস্যবৃন্দ ও অন্যান্য সাংবাদিক বৃন্দ।
সভায় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। তাদের সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় দ্বন্দ্ব বা দূরত্ব তৈরি হলে প্রকৃত চিত্র বিকৃত হয় এবং জনগণের আস্থার সংকট দেখা দেয়। তাই রাজনীতি ও প্রশাসনের সকল অঙ্গনে সাংবাদিকদের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়।
টঙ্গী পূর্ব থানা জামায়াতের আমীর মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “আমাদের দল প্রচার-প্রচারণা বা ব্যানার-ফেস্টুন নির্ভর রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। আমাদের মূল শক্তি হলো কর্মীদের আদর্শিক চেতনা, সাংগঠনিক কাঠামো এবং জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ। আমরা বিশ্বাস করি, কোনো দলই যদি জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করতে না পারে, তার কার্যকারিতা সীমিত থাকে।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান একক সদস্যভিত্তিক নির্বাচনী ব্যবস্থায় ছোট ও মধ্যম রাজনৈতিক দলগুলো প্রায়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই আমরা ভোটের আনুপাতিক হারে সংসদীয় আসন বণ্টনের লক্ষ্যে পিআর (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি চালুর দাবি জানাই, যা নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করবে।” সভায় অপ-সাংবাদিকতা প্রতিরোধে একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সাংবাদিক নেতারা জামায়াতের সহযোগিতা কামনা করেন এবং দলটি সাংবাদিকদের পাশে থাকার আশ্বাস দেয়।
গাজীপুর মহানগর সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি গাজী খলিলুর রহমান বলেন, “সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক দলের মধ্যে সুসম্পর্ক সমাজে তথ্যের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে। সাংবাদিকদের প্রতি আস্থা থাকলে জনগণ সঠিক তথ্য পায়। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতেও এই সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। রাজনীতি ও সাংবাদিকতার মধ্যে দূরত্ব না থাকাই উচিত। অপ্রয়োজনীয় দ্বন্দ্ব এড়িয়ে সংবাদমাধ্যমের সুনির্দিষ্ট ও নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন জনগণের কাছে পৌঁছানো সম্ভব।” সভায় উপস্থিত সবাই একমত হন, যে সাংবাদিক সমাজ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক সমাজে আস্থা এবং স্বচ্ছতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। তারা সম্মিলিতভাবে এ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার করেন।



Discussion about this post