
নিজস্ব প্রতিবেদক: ময়মনসিংহের তারাকান্দার সাদিপুর গ্রামের সফল ব্যবসায়ী হালিম উদ্দিন আকন্দ (৬৫) এখন নিজেরই সন্তান ইয়াকুব আলীর হাতে জীবন নিয়ে শঙ্কিত। পিতা-মাতার সর্বস্ব লুটে নিতে মাদকাসক্ত ছেলে ইয়াকুব আলী (বর্তমানে ঢাকার মুহাম্মদপুর থানার বটতলা পুলপাড় এলাকায় বসবাসরত) আজ বাবার প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দিচ্ছে।
হালিম উদ্দিন আকন্দ দীর্ঘদিন ধরে চাল, মুরগি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ঢাকায় সরবরাহ করে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। স্থানীয়ভাবে তিনি সমাজে একজন সম্মানিত মানুষ হিসেবেই পরিচিত। কিন্তু তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী থেকে জন্ম নেওয়া ছেলে ইয়াকুব আলী এখন পুরো পরিবার-সমাজের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, ইয়াকুব আলী দীর্ঘদিন ধরে মাদক, জুয়া ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে আসক্ত হয়ে পড়েছে। কোনো কাজ না করেও বেপরোয়া জীবনে ডুবে থাকা এই যুবক সম্প্রতি বাবার কাছে ১০ লাখ টাকা নগদ কিংবা সহায়-সম্পত্তি লিখে দেওয়ার অযৌক্তিক দাবি তোলে। এ দাবি পূরণ না করায় সে একদিকে আত্মীয়-স্বজনদের গালিগালাজ ও টানা-হেঁচড়া করছে, অন্যদিকে বাবাকে হত্যা করার প্রকাশ্য হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবেশীরা জানায়, ইয়াকুব আলীর মাদকসেবী আচরণে ওই এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রতিদিন তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। এমন অবস্থায় ভীত-সন্ত্রস্ত ব্যবসায়ী হালিম উদ্দিন আকন্দ বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অবহিত করার প্রস্তুতি নিয়েছেন। তিনি বলেন, “নিজেরই সন্তান আজ আমার মৃত্যুর ফাঁদ পেতেছে। আমি দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নিরাপত্তা চাই।” সমাজসচেতন মহল বলছে, এটি কোনো পারিবারিক দ্বন্দ্ব নয়, বরং মাদক নামের ভয়াবহ অভিশাপের নির্মম প্রতিচ্ছবি। একজন সম্মানিত ব্যবসায়ীর জীবন যদি নিজ সন্তানের হাতে হুমকির মুখে পড়ে, তবে সাধারণ মানুষ কতটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে তা সহজেই অনুমান করা যায়। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট মহলসহ সরকারকেও দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। তারা বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে মাদকাসক্ত ও সন্ত্রাসী সন্তানদের কঠোর আইনগত শাস্তির আওতায় আনতেই হবে।



Discussion about this post