
নুরে আলম :- রাজনীতির মঞ্চে এক সময় যিনি ফ্যাসিস্ট কর্মসূচির অন্যতম চালিকা শক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন, আজ তিনি নিজেকে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের কাতারে বসাতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি আর কেউ নন—গাজীপুরের আলোচিত মুখ মো. শাহীন আলম। এক দশক আগেও যিনি রাজনৈতিক সহিংসতা, অরাজকতা ও ফ্যাসিস্ট কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আলোচিত ছিলেন, এখন সেই শাহীন আলম নিজেকে গণতন্ত্র রক্ষার যোদ্ধা দাবি করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সভা-সমাবেশে, পোস্টারে, ব্যানারে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন—এ এক “চতুর রাজনৈতিক রূপান্তর।” ফ্যাসিস্ট অতীত ঢেকে নতুন পরিচয়ে আবির্ভূত হয়ে বিএনপির রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন শাহীন আলম। তার অতীতের কর্মকাণ্ড ও মামলার ইতিহাস এখনো অনেকের স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন পর্দার আড়ালে থেকে সুযোগ বুঝে নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করেন শাহীন আলম। দলের উচ্চ পর্যায়ের একটি মহলের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করে ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন বিএনপির অঙ্গসংগঠনগুলোর প্রভাবশালী ব্যক্তি। সমালোচকরা বলছেন, তার উত্থানই প্রমাণ করে—দলে এখন নীতি নয়, দরকার “দক্ষ নাট্যকার” যারা চেহারা বদলে আবারো ক্ষমতার খেলায় ফেরে। রাজনীতিতে নীতির চেয়ে কৌশল প্রাধান্য পেয়েছে বহু আগেই। শাহীন আলম তার জীবন্ত উদাহরণ। ফ্যাসিস্ট ট্যাগ মুছে ফেলে এখন তিনি ‘গণতন্ত্রের সৈনিক’। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়—গণতন্ত্র রক্ষার নামে কি আবারও ফ্যাসিবাদের ছায়া ফিরে আসছে অন্য মুখোশে?



Discussion about this post