
বশিরুল আলম, আলমডাঙ্গা (চুয়াডাঙ্গা) :- চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রশাসনিক ইতিহাসে এক নিবেদিতপ্রাণ, নির্লোভ ও মানবিক নেতৃত্বের অধ্যায় আজ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হলো। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম (যুগ্মসচিব)—যিনি প্রায় এক বছর দুই মাস ধরে চুয়াডাঙ্গার উন্নয়ন-অগ্রগতির চালিকাশক্তি হয়ে কাজ করেছেন, আজ ১৬ নভেম্বর ২০২৫ রবিবার তার দায়িত্বের শেষ কর্মদিবস সম্পন্ন করলেন। ২০২৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেন মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিন থেকেই তিনি স্বচ্ছতা, জনবান্ধব সেবা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জেলার প্রশাসনিক কার্যক্রমে নিয়ে আসেন নতুনত্ব ও দৃশ্যমান গতিশীলতা।
তার দায়িত্বকালকে চুয়াডাঙ্গাবাসী স্মরণ করে—# প্রশাসনিক কাজে গতি ও শৃঙ্খলা # আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা # দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান # ডিজিটাল সেবার বিস্তারে কার্যকর উদ্যোগ # মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় দ্রুত সাড়া # শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক খাতে অগ্রগতি # জনসেবায় স্বচ্ছতা ও সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণ তার আন্তরিকতা, দায়বদ্ধতা এবং গ্রামীণ জনপদে সরাসরি উপস্থিত থেকে সমস্যা সমাধানের মনোভাব চুয়াডাঙ্গার মানুষের হৃদয়ে অল্প সময়ে গভীর আস্থা ও শ্রদ্ধা তৈরি করে। তার শেষ কর্মদিবসে জেলা প্রশাসন চত্বরে সৃষ্টি হয় ব্যতিক্রম এক আবহ। সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, এনজিও প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী সমাজ ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাকে আন্তরিক শুভেচ্ছায় বিদায় জানান।
সকলের মুখে একই অনুভূতির প্রতিধ্বনি— “তিনি ছিলেন একজন মানবিক, সদালাপী, দূরদর্শী ও কার্যকর নেতৃত্বের অধিকারী জেলা প্রশাসক।” চুয়াডাঙ্গাবাসীর স্মৃতিতে তিনি থাকবেন—# দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানো সেই সহমর্মী প্রশাসক # উন্নয়ন প্রকল্পে গতি আনা সেই দক্ষ ব্যবস্থাপক # শিক্ষাঙ্গনে শিশু-বান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সচেষ্ট সেই দায়িত্বশীল মানুষ# মাঠপর্যায়ে প্রতিটি কাজে নিবেদিতপ্রাণ এক কর্মীসুলভ নেতৃত্ব তার নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গার প্রশাসনে এসেছে নতুন গতি, নতুন স্বচ্ছতা এবং জনবান্ধব সেবার নতুন মানদণ্ড।ভবিষ্যৎ যাত্রায় শুভকামনা বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের বিদায়ে চুয়াডাঙ্গাবাসী আজ গভীর কৃতজ্ঞতা ও শুভকামনায় মুখর। সকলেই তার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও আরও সাফল্যমণ্ডিত পেশাগত জীবনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
চুয়াডাঙ্গার মানুষের বিশ্বাস—যেখানেই তিনি দায়িত্ব পালন করুন, তার সততা, কর্মনিষ্ঠা ও মানবিক নেতৃত্ব সেই অঞ্চলের মানুষকে আলোকিত করবে। সমগ্র চুয়াডাঙ্গার হৃদয়ে তাই আজ একটি কথাই প্রতিধ্বনিত— “তিনি বিদায় নিলেন, কিন্তু রেখে গেলেন স্মরণীয় এক উত্তরাধিকার।”



Discussion about this post