
মোঃ সাগর খান টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি:- টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে বেড়ে ওঠা জুয়েল আহমেদ আজ দেশের প্রশাসনে এক সৎ, দক্ষ ও মানবিক নেতৃত্বের প্রতীক। পিতা বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুর রহমান (বাচ্চু) ও মাতা বিউটি আক্তারের মূল্যবোধে বড় হওয়া এই মেধাবী কর্মকর্তা তিন ভাই, এক বোনের পরিবারে সর্বকনিষ্ঠ। পরিবারের সবার মতো তিনিও নিজের যোগ্যতা, কঠোর পরিশ্রম ও অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে পুঁজি করে এগিয়ে গেছেন সাফল্যের উচ্চ শিখরে শিক্ষাজীবনের শুরু বাঁশতৈল মো. মুনশুর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে, পরে ঢাকা কমার্স কলেজে এইচএসসি। এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে মেধার স্বাক্ষর রেখে তিনি নিজেকে প্রস্তুত করেন একটি বড় লক্ষ্য—সিভিল সার্ভিস। তার অধ্যবসায়ের ফলেই তিনি উত্তীর্ণ হন ৩৪তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে। প্রশাসনিক জীবনে দায়িত্ব পালনেও তিনি দেখিয়েছেন এক অনন্য দৃষ্টান্ত। ২০২৪ সালে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (UNO) হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ‘বর্ষসেরা প্রশাসক’ সম্মাননা অর্জন করেন তিনি। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কার্যকর নেতৃত্ব, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, জনবান্ধব সেবা ও দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মানবিকতা—এই সম্মাননার পেছনে ছিল তার এমন অসাধারণ কাজের ধারাবাহিকতা। বর্তমানে তিনি মাদারীপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন) এবং বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। উন্নয়ন পরিকল্পনা থেকে শুরু করে মাঠপর্যায়ের বাস্তবায়ন—সব জায়গায়ই তার নিষ্ঠা, দৃষ্টি ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা প্রশংসিত হচ্ছে। মির্জাপুরের একটি সাধারণ গ্রামে বেড়ে ওঠা এক তরুণ আজ জেলা প্রশাসনের অন্যতম শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করছেন—এ যেন অনেক তরুণের স্বপ্নপথকে আলোকিত করে। তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন, পথে বাধা থাকলেও ইচ্ছাশক্তি ও সততার ওপর ভরসা রাখলে অসম্ভব কিছুই নেই। আমাদের “মির্জাপুর” ফেসবুক পেইজের পক্ষ থেকে প্রশাসন ক্যাডারের এই গর্বিত সন্তান জুয়েল আহমেদকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভকামনা। তার কর্মনিষ্ঠা, সততা ও উন্নয়নমুখী দৃষ্টিভঙ্গি আগামী দিনে আরও নতুন সাফল্য বয়ে আনুক—এই প্রত্যাশা আমাদের। আমাদের মির্জাপুরের নাম তিনি বারবার গর্বের সঙ্গে তুলে ধরবেন, আর তরুণ প্রজন্মের জন্য হয়ে থাকবেন এক অনুপ্রেরণার বাতিঘর।



Discussion about this post