
নিজস্ব প্রতিবেদক :: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের তফসিল আজ বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হয়েছে। সন্ধা ৬টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সিইসির ভাষণটি বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি চ্যানেলগুলোতে প্রচার করা হয়।
সিইসি তার ভাষণে তফসিলের ঘোষণা দিয়ে জানান, গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি। ওইদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট হবে সাদা-কালো। আর গণভোটের ব্যালটের রং হবে গোলাপি। প্রসঙ্গত, দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম একইদিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
সিইসি বলেন, নির্বাচন উপলক্ষ্যে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন ২৯শে ডিসেম্বর, ৩০শে ডিসেম্বর থেকে চৌঠা জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে যাচাই-বাছাই। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। আগামী ২১ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ শেষে ২২ জানুয়ারি থেকে প্রচার প্রচারণা শুরু করবেন প্রার্থীরা।
এর আগে গতকাল বুধবার আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনার। নির্বাচনের প্রস্তুতির অগ্রগতি রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন তারা। সুষ্ঠু ও অর্থবহ নির্বাচন আয়োজনে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। ইসির নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনে ফিরে ইসি সচিব সাংবাদিকদের জানান, রাষ্ট্রপতিকে ভোটার তালিকা, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন, ব্যালট পেপার তৈরি, রঙ নির্ধারণ, ব্যালট পেপার ভোটারকে দেওয়ার উপায়, মক ভোটিং এবং ভোট গণনার পদ্ধতিসহ সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে জানানো হয়। এসব শুনে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এদিকে বাগেরহাটের সংসদীয় আসন চারটি থেকে কমিয়ে তিনটি করে নির্বাচন কমিশন যে গেজেট জারি করেছিল, তা ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে গতকাল রায় দিয়েছে আপিল বিভাগ। কমিশন আদালতের রায় বাস্তবায়ন করে বিন্যাস করা সীমানা আগের, অর্থাৎ দ্বাদশ সংসদীয় আসনের মতো পুনর্বহাল করেছে। গতকাল রাতেই কমিশন অনুমোদন দিয়ে ৩০০ সংসদীয় আসনের গেজেট পুনরায় জারি করেছে। ফলে আগের মতো বাগেরহাটের আসন চারটি এবং গাজীপুরের আসন পাঁচটি বহাল থাকল।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এবার দেশে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪৮ লাখ ১৪ হাজার ৯০৭ জন ও নারী ভোটার ৬ কোটি ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৪২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১ হাজার ২৩৪ জন। চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ হয়েছে তাদের নিয়েই চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রস্তুত করেছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।



Discussion about this post