
বশিরুল আলম,আলমডাঙ্গা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি:- চুয়াডাঙ্গা জেলায় টানা দুই দিন ধরে সূর্যের দেখা না মেলায় হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে শীতের তীব্রতা। কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ, ঠান্ডা বাতাস আর হাড়কাঁপানো শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল ও নিম্নআয়ের মানুষ। ভোর থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে চারপাশ। সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও সূর্যের আলো না থাকায় শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হয়ে উঠছে। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কমে গেছে, প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকেই। খেটে খাওয়া মানুষেরা কাজের সন্ধানে বের হলেও শীতের কারণে কাজে মনোযোগ দিতে পারছেন না। বিশেষ করে দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক ও কৃষিশ্রমিকরা পড়েছেন চরম বিপাকে। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকেই খোলা আকাশের নিচে কাঁপতে কাঁপতে রাত কাটাচ্ছেন। শহরের ফুটপাত, বাসস্ট্যান্ড ও রেলস্টেশনে আশ্রয় নেওয়া ছিন্নমূল মানুষের কষ্ট যেন আরও বেড়ে গেছে। স্থানীয়রা জানান, এমন আবহাওয়ায় শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে ঠান্ডাজনিত অসুস্থতার আশঙ্কাও বাড়ছে। অনেক পরিবারে শীতবস্ত্রের সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে। স্বেচ্ছাসেবী ও সমাজসেবী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে সীমিত আকারে কম্বল বিতরণ শুরু হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। এদিকে আবহাওয়া এমন থাকলে আগামী কয়েক দিন শীত আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে দ্রুত সহায়তার ব্যবস্থা না হলে ছিন্নমূল ও নিম্নআয়ের মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। চুয়াডাঙ্গার শীতল সকাল আর সূর্যহীন দিন যেন মনে করিয়ে দিচ্ছে—শীত শুধু একটি ঋতু নয়, কারও কারও জন্য এটি বেঁচে থাকার কঠিন লড়াই।



Discussion about this post