
স্টাফ রিপোর্টারঃ ফেইসবুকে পরিচয় অতঃপর প্রেম, পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে নিজ দায়িত্বে বিয়ে, বিয়ের ছয় মাস না যেতেই দাবীকৃত যৌতুকের ১৬ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় জোরপূর্বক নববধুকে তালাক দিয়েছে ফরিদপুর জেলা পুলিশের সদস্য আমিরুল ইসলাম। যার বিপি নং-৯৮১৮২১৬৫৯১। উক্ত পুলিশ সদস্যের বিচারের দাবীতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে ফরিদপুর আদালতে একটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছে নববধু নাইচ আক্তার। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানার শ্রীরাম গ্রামের রুহুল আমিনের মেয়ে নাইচ আক্তারের সাথে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পরিচয় হয় ফরিদপুর জেলা পুলিশের সদস্য নাটের জেলার লালপুর থানার বেড়িলাবাড়ি গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে আমিরুল ইসলামের সাথে। যার বিপি নং-৯৮১৮২১৬৫৯১। এক পর্যায়ে দুই জনেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এসময় আমিরুল পরিবারের কাউকে না জানিয়ে নাইচ আক্তারকে ১০/০৭/২০২৩ইং তারিখে ফরিদপুর চরকামলা ব্রীজ সংলগ্ন কাজী মোঃ কামরুল হাসানের নিকট বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পরে আমিরুল ও নাইচ আক্তার দুইজনই নাইস আক্তারের পিতার বাড়িতে বসবাস করতে থাকে। এর ভেতরে নাইচ আক্তার ও তার পরিবার আমিরুলের পরিবারের লোকজনকে বিয়ের বিষয়টি জানানোর জন্য তাগিদা দিলে বেকে বসে পুলিশ সদস্য আমিরুল, এসময় বিভিন্ন রকমের তাল বাহানা শুরু করে। আমিরুল পুলিশের বড় পদে যাওয়ার কথা বলে এসময় নাইচ আক্তারের পরিবারের নিকট ১৬ লক্ষ টাকা যৌতুক হিসাবে দাবী করে।
দাবীকৃত কিছু টাকা নাইচ আক্তারের পরিবার পরিশোধও করে। তারপরও পুলিশ সদস্য আমিরুলের মন ভরাতে পারেনি। এসময় নাইচ আক্তরের পরিবার ফরিদপুর জেলা পুলিশকে বিষয়টি জানালে আমিরুল ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৭/০২/২৪ ইং তারিখে জোরপূর্বক নাইচ আক্তারকে তালাক প্রদান করে এবং উক্ত বিষয় নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে নাইচ আক্তারের পরিবারকে বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলে হুমকি প্রদান করে। তাছাড়া নাইচ আক্তার পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে কোথাও বিচার না পেলে সে ফরিদপুর জেলা আদালতে আমিরুলকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে নাইচ আক্তার বলেন, সে আমাকে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে করেছে। আমরা একসাথে বসবাস করেছি কিন্তু সে আমার জীবন নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলবে আমি ভাবতেও পারিনি। আর যাতে আমার মতো কোনো মেয়ের জীবন ধ্বংস করতে না পারে সেই জন্য আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
এব্যাপারে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য আমিরুলের সাথে একাধিক বার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও অপর প্রান্ত ফোন বাজলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।



Discussion about this post