
স্টাফ রিপোর্টার :: টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকায় নিউ লাইফ হাসপাতাল এন্ড ট্রমা সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় এক নবজাতক শিশুকে হত্যার পর লাশ গুমের অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ডাক্তার, হাসপাতালের মালিকসহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা পলাতক। আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারী) টঙ্গী থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহার থেকে এই তথ্য জানা যায়।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, টঙ্গীর টিএন্ডটি এলাকার খোকন ও আয়েশা দম্পতি নিউ লাইফ হাসপাতাল এন্ড ট্রমা সেন্টারে আসেন। গর্ভবতী নারীর সন্তান প্রসবের আরো ২০ দিন বাকী থাকলেও ডাক্তাররা ভয়ভীতি দেখিয়ে এখনি সিজার করতে বলেন। ভয় পেয়ে আয়েশার স্বামী খোকন মিয়া ২৮ হাজার টাকা চুক্তি করে সিজার করান। এ সময় দুটি নবজাতক শিশুর ডেলিভারি সম্পন্ন হলেও খোকনকে জানানো হয় যে, তার এক সন্তান মারা গেছেন। অত:পর
একটি নবজাতক শিশুকে হত্যা করে ডাক্তাররা সুকৌশলে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন নিহত নবজাতক শিশুর বাবা মো: খোকন। এমনকি নবজাতক শিশুর লাশ একটি কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে কাটুনে ভরে গুম করে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কিন্তু আমাদের হাতে ধরা পড়ার পর মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ করা হয়। নবজাতক শিশুর মাথায় প্রচুর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে দাবী নিহত নবজাতকের বাবা খোকন মিয়ার ও স্বজনদের।
এ বিষয়ে ভুল চিকিৎসা ও অদক্ষতার কারণে নবজাতক শিশুকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে নিহতের পিতা খোকন মিয়া টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাসপাতালের ডাঃ কাম পরিচালক মতিউর রহমান ও আরেক পরিচালক রফিকুল ইসলামকে একাধিকবার মুঠোফোন কল দিলেও তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি ।
টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) ফরিদুল ইসলাম বলেন , নিহত শিশুর ময়নাতদন্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ দক্ষিণ বিভাগের উপ- কমিশনার এন এম নাসিরুদ্দিন বলেন, এই বিষয়ে মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মাহমুদা আখতার বলেন, আমি সরেজমিন তদন্ত করেছি। ডাক্তার নিয়ে সমস্যা আছে। এই ঘটনায় তিন সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।



Discussion about this post