
বশিরুল আলম,আলমডাঙ্গা (চুয়াডাঙ্গা) থেকেঃ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গার দুটি সংসদীয় আসনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে মোট ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রিটার্নিং অফিসার ও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। তবে এরমধ্যে কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সদস্য এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বিএনপি নেত্রী মিলিমা ইসলাম বিশ্বাস স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করলেও কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি তা জমা দেননি। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা হলেন— জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও দলীয় মনোনীত প্রার্থী শরীফুজ্জামান শরীফ, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি হাসানুজ্জামান সজীব ও সহ-সভাপতি মাওলানা জহুরুল ইসলাম আজীজী, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব মোল্লা এহসান ফারুক।
অন্যদিকে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন— চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি ও দলীয় মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান খান বাবু, চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমীর ও দলীয় মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি হাসানুজ্জামান সজীব, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির মনোনীত প্রার্থী ও দৈনিক সকালের সময়-এর সম্পাদক-প্রকাশক নুর হাকিম, এবং আমার বাংলাদেশ পার্টির চুয়াডাঙ্গা জেলা আহ্বায়ক ও দলীয় মনোনীত প্রার্থী আলমগীর হোসেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি হাসানুজ্জামান সজীব দুটি আসন থেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ফলে তিনি চুয়াডাঙ্গা-১ ও চুয়াডাঙ্গা-২—উভয় আসন থেকেই নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাচন অফিসার আহমেদ আলী জানান, এই দুটি সংসদীয় আসনে মোট ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন, যার মধ্যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ১১ জন প্রার্থী আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এদিকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের নির্বাচনী অঙ্গীকার তুলে ধরেন। প্রার্থীরা জানান, নির্বাচিত হলে নিজ নিজ আসনকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তোলাই হবে তাঁদের মূল লক্ষ্য। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কৃষি ও শিল্পখাতে উন্নয়ন, তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন তারা। পাশাপাশি দুর্নীতিমুক্ত, সুশাসনভিত্তিক ও জনবান্ধব উন্নয়ন নিশ্চিত করার আশ্বাসও ব্যক্ত করেন প্রার্থীরা। উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ২০ ডিসেম্বর জেলা নির্বাচন অফিস ঘোষিত চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে (সদর ও -আলমডাঙ্গা উপজেলা নিয়ে গঠিত) মোট ভোটার ৫ লাখ ৭ হাজার ৪৮১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫১ হাজার ৯৭১ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৫৫ হাজার ৫০৩ জন।অন্যদিকে, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে (জীবননগর, দামুড়হুদা ও সদর উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত) মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৯৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৩ হাজার ৩১ জন। নারী ভোটার ২ লাখ ৪৩ হাজার ১৬৩ জন।



Discussion about this post